জুনায়েদ আল হাবিব,
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক ছাত্রনেতা জনাব মনিরুল হক চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরবর্তীতে নিজ এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন।
একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি পারিবারিক জীবনেও তিনি একজন সুখী মানুষ।তার মেয়ে ডক্টর চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একই সাথে পিএসসির সদস্য।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ডঃ চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস সারা বাংলাদেশের মুখপাত্র হয়ে উঠেছিল।
মনিরুল হক চৌধুরী নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তার নির্বাচনী এলাকার মানুষ যে কোন সময় যে কোন সমস্যার সমাধান কিংবা সহযোগিতার জন্য তার কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হয় নি।
এ ব্যাপারে তার নির্বাচনী এলাকার একজন বলেন, ২০১৮ সালে আমার সন্তান অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে হাত ও পা ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে পঙ্গু হসপিটালে ভর্তি করার ক্ষেত্রে উনার সহযোগিতা চাই,সাথে সাথে উনি এগিয়ে আসেন।উনার সহযোগিতা আমি সব সময় মনে রাখবো।
এছাড়াও তিনি তার কাজের ব্যাপারে সচেতন। এই এলাকার পুরাতন সকল রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামগত উন্নয়নের জন্য তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
একজন বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও প্রাজ্ঞ ব্যাক্তি হিসেবে কুমিল্লার মানুষের স্বার্থ হাসিল ও উন্নয়নের জন্য তার নির্বাচনী এলাকার মানুষ তার দীর্ঘ হায়াত কামনা করেন।
উল্লেখ্য বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। ফলে তিনি সাময়িক রাজনৈতিক সংকটে ভুগছেন। তবে তার সমর্থকরা মনে করে তিনি এই সংকট কাটিয়ে রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবেন।